ঢাকা : জাল ডকুমেন্ট, পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জন্ম নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ সনদ তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নিরীহ, দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের ভাল চাকরি এবং বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে সিআইডির অর্গনাইজড ক্রাইম, হোমিসাইডাল শাখা গ্রেফতার করেছে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন জানান, গ্রেফতারকৃতরা হল- মোহাম্মদ মকবুল হোসেন(৩৫), মো. পারভেজ মাহমুদ (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (২২), মো. সাদি হাসান (২৯) ও মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম পান্না (৩৪)।
গত ২ ডিসেম্বর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন ফকিরাপুল এম.এইচ. ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালিয়ে মকবুল হোসেনকে আটক করে। অফিসের তিনটি কক্ষে রক্ষিত আলমিরা ও ফাইল কেবিনেট তল্লাশি করে ৪৮৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, শতাধিক জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, জাল প্রশিক্ষণ সনদ জব্দ করা হয়। এসময় মকবুলের অফিসে কর্মরত তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়।
ডিএমপির পল্টন মডেল থানা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার দুুুই মামলায় পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য পান্না ও তৈয়ব রুনা নামক ১৭ বছর বয়সী একজনকে এম.এইচ. ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে তার বয়স ১৭ বছরের পরিবর্তে ৩০ দেখিয়ে যৌনকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে পাচার করে। এ ঘটনায় রুনার খালা বাদী হয়ে ফতুল্লায় মামলা করে। যেখানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক মকবুল হোসেন এবং দুই দালালকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। মামলাটি সিআইডির মিসাইডাল শাখার এসআই মো. সিরাজ উদ্দিনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
উল্লেখ্য, পল্টন থানায় দায়েরকৃত মামলা তদন্তকালে দেখা যায়, উদ্ধারকৃত পাসপোর্টের ঠিকানা ও বয়সের গড়মিল আছে। তাছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসারের সিল এবং স্বাক্ষর জাল। মামলার প্রধান আসামি মকবুল হোসেন তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ জাল ডকুমেন্ট তৈরি করে নিরীহ মহিলাদের যৌনকর্মী হিসেবে বিদেশে পাচার করে আসছে। ইতিমধ্যে দালাল আসামি পান্না এবং মকবুল কর্তৃক সৌদি আরবে প্রেরিত দুই জন ভিকটিম যাহারা যৌন নিপিড়নের শিকার তাহারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলা দুটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আগামী নিউজ/এমআরএস/এএম