Dr. Neem on Daraz
Victory Day

রুম্পার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে


আগামী নিউজ | আগামী নিউজ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০২:৩৮ পিএম
রুম্পার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে

ঢাকা: পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।  

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক সূত্র জানায়, ১৪ ডিসেম্বর ধর্ষণ হয়েছে কিনা, ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা ও ব্লাড পরীক্ষার রিপোর্ট পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ডিবি পুলিশ হত্যা না আত্মহত্যা সেটাও নিশ্চিত হতে পারবে। পাশাপাশি মৃত্যুর আগে রুম্পা ধর্ষিত হয়েছিল কিনা তাও জানা যাবে।    

গত বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধারের পরদিন শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে উপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার নমুনা পাওয়া গেছে। তার ভিসেরা ও ব্লাড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর আগে শারীরিক মেলামেশা বা ধর্ষণ হয়েছে কিনা, সেই নমুনাও পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ডিএনএ নমুনাও। সব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা রুম্পার প্রেমিক সৈকত ও তার বন্ধুরা ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রুম্পাকে নিয়ে সৈকত সেই ভবনে ঢুকেছিল এমন ফুটেজ এখন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। ভবনের ছাদের কোণায় রুম্পার জুতার ছাপও পেয়েছে। এসব আলামত এখন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে।

আবদুর রহমান সৈকতের রুম্পার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে সেই সম্পর্কের ইতি টানতে চাইলে সৈকত ও রুম্পার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এতো কিছুর পরও রুম্পা বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেনি। ঘটনার দিন সৈকত তার সহযোগীদের নিয়ে রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর সেই বাসার ছাদে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাকে ওই ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে বলে মনে করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
 
সিদ্দেশ্বরীর রাস্তা থেকে রুম্পার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সৈকতকে আটকের পর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রুম্পার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনার জোন টিমের পরিদর্শক শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস।

এর আগে, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সৈকতকে আটক করে ডিবিতে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গোয়েন্দা পুলিশ সৈকতের সহযোগী যারা ছিল তাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। 

প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে ডিবি পুলিশ আদালতকে জানান, রুম্পা ও সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দিন দিন তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তারা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দেখা করেন। তখন কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন সৈকত। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দু’জনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর জের ধরে ওই দিন রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রুম্পাকে ৬৪/৪ সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িটির ছাদে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে রুম্পাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রুম্পার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরের বিজয়নগরে দাফন করা হয়েছে।

আগামী নিউজ/এমআরএস/এমআর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে