Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কেস ফলোআপ: ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, ০২:০০ পিএম
কেস ফলোআপ: ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা

ঢাকা: ঘটনার তারিখ ও সময়: তারিখ ২৬/০২/২০১৫ ইং   রাত অনুমান সাড়ে ৮টা।
ঘটনাস্থল: শাহবাগ থানাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের উত্তর পূর্বে রাস্তার ফুটপাতের ওপর।

বাদী:  ড. অজয় রায় (অভিজিতের বাবা)

মামলা নাম্বার ও তারিখ: শাহবাগ থানার মামলা নং-৫১ তারিখ: ২৭/০২/২০১৫ ইং।

ধারা: ৩০২/৩২৬/৩২৪/৩০৭/৩৪  পিসি।

তদন্তকারী সংস্থা: কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ডিএমপি, ঢাকা।

অভিযোগপত্র: শাহবাগ থানার অভিযোগ পত্র নং-৫৩, তারিখ: ১৮/০২/২০১৯ ইং।

ধারা: সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর ৬ (১), (ক), (অ)/৬(২)/৮/৯/১০/১২/১৩

মোট অভিযুক্ত: ১২ জন ।

আলামত: ৩০ টি ।

মোট সাক্ষী: ৩১ জন ।

মোট নিহত: ১ জন।

মোট আহত: ১ জন।

ফৌ: কা: বি: ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি: ৩ জন।

এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

অত্র মামলার বাদী থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, তার পুত্র অভিজিত রায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাবা মাকে দেখার জন্য অভিজিৎ রায় তার স্ত্রীসহ ঢাকা আগমন করেন। একুশে বইমেলায় তার দুইটি বই প্রকাশিত হয়। এ উপলক্ষে মাঝে মাঝে বই মেলায় যায়। গত ২৬/০২/২০১৫ খ্রি:  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বই মেলায় যায়। মেলা থেকে ফেরার সময় আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় টিএসসি চত্বরের সামনে এক বা একাধিক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক অভিজিত রায় ও তাঁর সহধর্মিনী বন্যা আহমেদকে চাপাতি দিয়ে মাথার পেছনে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। সাথে সাথেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং তার মাথার পেছনে খুলি ভেঙ্গে মগজ বেরিয়ে আসে। তার সহধর্মিনী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তিনিও গুরুতরভাবে আহত হন। পথচারীরা তাদের দুজনকে সিএনজিযোগে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী শাখায় নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত অনুমান ১০.৩০ টায় অভিজিৎ রায় মারা যান।

তদন্ত:

বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। দীর্ঘ তদন্তে অত্র মামলার ঘটনার সাথে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর ১২ জন সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও ৫ জনের সঠিক নাম ঠিকানা উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের সঠিক পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। শনাক্তকৃত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে ফৌ: কা: বি: ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। ২ জন পলাতক আছেন ও ১ জন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। যে ৫ জনের সঠিক পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি পরবর্তী সময়ে তাদের সঠিক নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে অথবা গ্রেফতার করা সম্ভব হলে তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলার সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জন হলেন:

১। মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব)

২। মোজাম্মেল হুসাইন সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার)

৩। মো. আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম, সাজ্জাদ, শামস্)

৪। শাফিউর রহমান ফারাবী

পলাতক:

১। সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে বড় ভাই)

২। মো. আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ

অভিযানের সময় নিহত:

১। মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী

শনাক্ত এবং গ্রেফতার হয়নি এমন ৫ জন যারা নিম্নবর্ণিত নামে নিজেদের মধ্যে পরিচিত ছিলো তারা হলো:

১। সেলিম

২। হাসান

৩। আলী ওরফে খলিল

৪। আনিক

৫। অন্তু

মামলার বর্তমান অবস্থা: মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।

সূত্র: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিকেশন্স    

আগামীনিউজ/সুমন/হাসি
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে