Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বাবা-মা বুকে তুলে নেবার আগেই হাড়িয়ে গেলো সন্তান


আগামী নিউজ | রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৬:৫৪ পিএম
বাবা-মা বুকে তুলে নেবার আগেই হাড়িয়ে গেলো সন্তান

ফাইল ফটো

সিরাজগঞ্জঃ সদর হাসপাতাল থেকে ২৩দিনের  নবজাতক চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জেলার সলঙ্গা থানার শাখাওয়াত এইস. মেমোরিয়াল হাসাপাতাল থেকে আবারও ৬ঘন্টার একটি নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
 
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে হাসপাতাল থেকে নবজাতকটি চুরি হয়। নবজাতকটি জেলার তাড়াশ থানার নওগা গ্রামের মাজেদ-সবিতা দম্পতির। দীর্ঘ ১২বছর পরে এটাই তাদের প্রথম সন্তান। কিন্তু বাবা-মা বুকে তুলে নেবার আগেই হাড়িয়ে গেলো বুকের ধন।
 
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাবনা জেলার চাটমোহর থানার স্থল গ্রামের বাসিন্দা নবজাতকের নানী তাকে কোলে রাখাকালীন সময়ে বোড়কা পরিহিত একজন নারী তাকে দীর্ঘ সময় ধরে কোলে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে নবজাতক সহ পালিয়ে যান।
 
এবিষয়ে নবজাতকের নানী আগামী নিউজকে বলেন, একজন মহিলা বললো তার ভাইয়ের ছেলে হয়েছে এই হাসপাতালেই। কিন্তু তাকে কোলে নিতে দিচ্ছেন না। তাই শিশুটিকে কোলে নিতে চাইলে আমি দেই। কিন্তু ভিতরে ডাকছে বলে আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে তিনি চেনেন না বলেও জানান।
 
নবজাতকের বাবা মোঃ আব্দুল মাজেদ আগামী নিউজকে বলেন, আমরা গতরাত ৩টার দিকে হাসপাতালে এসে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করেছি। ১২বছর প্রচেষ্টার পরে আমার প্রথম একটি সন্তান হলো। পূত্র সন্তান হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে কোলে পর্যন্ত নিতে পারলাম না। আমার শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনের কাছেই শিশুটি ছিল।
 
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৩টার দিকে প্রসূতি সবিতাকে ভর্তি করানো হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার একটি পূত্র সন্তান হয়। কিন্তু প্রায় ৬ঘন্টার মধ্যেই বিকাল সোয়া ৩টার দিকে শিশুটি চুরি হয়ে যায়।
 
হাসপাতালের ব্যাবস্থাপক মোঃ জাকির হোসেন  আগামী নিউজকে বলেন, আমি ৩টার দিকে অফিসে থাকাকালীন শুনলাম। আমি পুলিশকে  সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করছি। তবে এবিষয়ে তাদের কোনো অবহেলা নেই বলেও জানান তিনি।
 
এবিষয়ে সাখাওয়াত এইস. মেমোরিয়াল হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম আগামী নিউজকে বলেন, শিশুটি তার নানির কোলে ছিল। তার কাছ থেকে একজন মহিলা কোলে নিয়ে রাখেন। তারপরে সে সুকৌশলে পালিয়ে যান। আমরা পুলিশকে অবগত করেছি তারা এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তার হাসপাতালের নিরাপত্তার কিছুটা ভুল থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তে যদি আমার স্টাফের কেউ জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
 
এবিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী আগামী নিউজকে বলেন, আমরা শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমরা শিশুটিকে খুজে বের করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
 
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি আপনার কাছেই শুনলাম। আমি খোজ খবর নিচ্ছি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
 
আগামীনিউজ/এএস
আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে