Dr. Neem on Daraz
Victory Day
১৫ হাজার মানুষের দূর্ভোগ

শাহজাদপুরে ব্রীজে উঠতে বাঁশের মাচাল


আগামী নিউজ | রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২০, ০৬:০৩ পিএম
শাহজাদপুরে ব্রীজে উঠতে বাঁশের মাচাল

ছবি: আগামী নিউজ

সিরাজগঞ্জঃ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের ছোটমহারাজপুর গ্রামের বাঐখোলা-পোরজনা সড়কে ১০ মাস আগে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২৪ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুট কংক্রিট ব্রীজটি সেতু/কালভাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নিমাণ করা হয়। এরপর থেকে ওই ব্রীজের দু‘পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় ওই এলাকার ১৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুকিপূর্ণ বাঁশের মাচাল দিয়ে ব্রীজে উঠে তারপর অতিকষ্টে ব্রীজটি পাড় হচ্ছে।

গ্রামগুলো হল, বাচড়া, চরবাচড়া, পোরজনা, বাঐখোলা, রাণীকোলা, ছোট মহারাজপুর, চর কাদই, পুরান কাদাই, পুঠিয়া, বেলতৈল, উল্টাডাব, চরকৈজুরি, বড় মহারাজপুর, কাকরিয়া ও জামিরতা।

এ বিষয়ে ছোট মহারাজপুর গ্রামের, আব্দুস সালাম, আব্দুল মান্নান, মস্তাফিজুর রহমান, পোরজনা গ্রামের, লোকমান হোসেন, রাণীকোলা গ্রামের সামশাদ আলী, আবুল কালাম আজাদ ও উল্টাডাব গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, এ সব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক ও ব্রীজ দিয়ে ১টি ইউনিয়ন তফসিল অফিস, ১টি পোস্ট অফিস, ১টি আশ্রম, ২টি হাসপাতাল, ২টি ব্যাংক ও ৩টি হাট-বাজারে যাতায়াত করে।

এ ছাড়া এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন ৪টি বিদ্যালয়, ১টি কলেজ ও ৫টি মাদ্রাসার ৩ হাজার শিক্ষার্খী যাতায়াত করে। প্রায় ১০ মাস ধরে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও এর দু‘পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ না করায় বর্ষার সময় গ্রামের চাকরিজীবিদের দেওয়া ২০ হাজার টাকায় বাঁশের মাচাল তৈরী করে যাতায়াত করছি। এটাও পুরনো হয়ে পড়ায় ও পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পণ্য বোঝাই রিক্স-ভ্যান যাতায়াত করতে পারে না। ফলে আমাদের ধান, চাল, পাট, গৃহনির্মাণ সামগ্রী ও সেনিটারি সামগ্রী মাথায় করে নিতে হয়। এতে খরচ ও সময় বেশি লাগে। এ ছাড়া কষ্টও অনেক বেশি হয়। বৃদ্ধ ও শিশুরা যাতায়াত করতে পারে না। পণ্যবাহী ভ্যান উল্টে দূর্ঘটনা ঘটে।

তারা আরো জানান, ব্রীজটি নির্মাণের পর দায়সারা গোছের ভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে গ্রামের চাকরিজীবিদের দেওয়া চাঁদার টাকায় বাঁশের মাচাল তৈরী করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাই তারা অবিলম্বে ব্রীজটির দু‘পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবী জানান।

এ বিষয়ে পেরজনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওসমান গণি বলেন, বীজিটি নির্মাণের পরপরই বন্যার পানি চলে আসায় মাটিভরাট করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পানি সড়ে গেলে মাটিভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,বীজিটি নির্মাণের পর কিছুটা মাটিভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙ্গে গেছে। পানি সরে গেলে মাটিভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে