Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কুড়িগ্রামে জ্বর-সর্দির প্রকোপ, ওষুধের দাম চড়া


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২, ০৯:৫৬ পিএম
কুড়িগ্রামে জ্বর-সর্দির প্রকোপ, ওষুধের দাম চড়া

কুড়িগ্রামঃ জেলার সবকটি উপজেলায় জ্বর-সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নানান বয়সী মানুষ। অসহনীয় গরম আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

জ্বরের প্রকট থেকে মুক্তি পেতে হাসপাতাল ও স্থানীয় ফার্মেসিতে রোগীর ভিড় দেখা গেলেও ওষুধ সংকটে ভুগছেন রোগী ও স্বজনরা। বাজারে প্যারাসিটামল, নাপাসহ জ্বর-সর্দির ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু ফার্মেসিতে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

ওষুধের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সংকটের কারণে দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

জ্বরে আক্রান্ত মুক্তামনি বলেন, গত তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। আজ কিছুটা কমেছে। ফার্মেসিতে জ্বরের সিরাপ ২০ টাকার বদলে ৩৫-৪০ টাকা কিনে খাচ্ছি।

রুমা বেগম বলেন, অতিরিক্ত গরমে জ্বর-সর্দি-কাশি ধরেছে। আমার বাড়িতে আরও দুজন জ্বরে ভুগছেন। এমনিতে হাতে টাকা-পয়সা নেই, তারপর দ্বিগুণ দামে ওষুধ কিনতে হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ওষুধ বিক্রেতা পালস ফার্মেসির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাপা সিরাপ ৬০ মি. ২০ টাকা দামে বিক্রি হত। এখন ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাপা ট্যাবলেট ৫০০ মি. গ্রা ১০ টাকা পাতা বিক্রি হলেও এখন ১৩ টাকা দামে বিক্রি করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে ১৫ টাকা দাম বেশি হওয়ায় অনেক ছোট ব্যবসায়ীরা কিনতে চায় না।

সদর উপজেলার বিসমিল্লাহ ফার্মেসির মালিক বলেন, গ্রাহকদের কাছে ইচ্ছে করে প্যারাসিটামল গ্রুপ ওষুধের দাম বেশি নেই না। বড় বড় ওষুধ বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনছি। ঈদের ৩ দিন আগ থেকেই এ জাতীয় ওষুধগুলোর দাম হঠাৎ করে বেড়েছে। ওষুধের মূল্য তালিকায় আগের দাম ঠিক থাকলেও এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। শুনেছি নাপা সিরাপ ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট তৈরির কাঁচামাল সংকটের কারণে দাম নাকি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ও জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আল-আমিন মাসুদ বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে এখানে অনেক গরম পড়েছে। এ গরমের কারণে কিছু অসুখ বেড়ে গেছে। যেমন জ্বর-সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়া। এসময় আমি শিশু রোগীদের বাবা-মাকে সর্তক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এ গরমে বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে মুছিয়ে দিতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। যদি কখনও কোনো সমস্যা হয়, সর্দি-কাশি হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মো. নাসির আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের আউটডোরে জ্বরের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তবে সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামেও কোভিড রোগীর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে জ্বরে প্রভাবটা দেখা দিতে পারে। কভিড-১৯ টেস্টের সকল কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। 

ওষুধের কোথাও কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।  

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে