Dr. Neem on Daraz
Victory Day

শহীদ ভোলার মায়ের আকুতি ছেলে হত্যার আসামী যেন আওয়ামী লীগের কোন পদে না আসে


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর প্রকাশিত: মে ২০, ২০২২, ০৮:৫২ পিএম
শহীদ ভোলার মায়ের আকুতি ছেলে হত্যার আসামী যেন আওয়ামী লীগের কোন পদে না আসে

 শেরপুরঃ শহীদ ভোলা হত্যার আসামী আওয়ামী লীগের  পদ পেলে স্বর্গ লোকে আমার ছেলের আত্মা কষ্ট পাবে। আমি চাইনা আমার ছেলে ছাত্র লীগ নেতা ভোলার হত্যাকারী আওয়ামী লীগের কোন পদে আসুক। "ছেলে হারানোর ব্যাথা বুকে নিয়ে বছরের পর বছর কাটানো শহীদ ভোলার মা আরতি দত্ত কান্না জড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন।

শেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শহীদ আশীষ দত্ত ভোলা হত্যার আসামী যেন আওয়ামী লীগের কোন পদে না আসতে না এই আকুতি জানান তিনি। ১৯৯৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খরমপুরস্থ সাবেক গভর্নর এডভোকেট আনিসুর রহমান সাহেবের বাসায় ছাত্রলীগের সভা চলাকালে সন্ত্রীরা ছুরিকাহত করে ভোলাকে হত্যা করে। উল্লেখ্য, কালো টাকা ছিটিয়ে দলে যোগদান করেই নাইম আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। তিনি দলে যোগদান করেই ত্যাগী নেতাদের বাদ দিতে থাকেন। বিএনপি জামাত নেতা করমীদের দলে এনে যোগদান ছাড়াই পদপদবী দেন। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৬২ জন নেতা কর্মীর নামে পৃথক দুটি মামলা দিয়ে ৪৩ দিন জেল হাজত খাটান।

নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু সাহেবকে সাড়ে তিন বছর দলের কাজ থেকে বিরত রেখে একজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক(সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে)ব্যানার বানিয়ে মাইকে প্রচার দিয়ে দলের কর্মকান্ড চালিয়েছেন। সভাপতি নাইমের কারণে যুব লীগ ও কৃষক লীগ আলাদা অফিস নিয়ে দলীয় কর্এমকান্ভাড পরিচালনা করছে।এভাবে দলকে তিনি খন্ড বিখন্ড করে ফেলেছেন। 

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্য করে বিএনপির দুই নেতাকে আওয়ামী লীগে যোগদান ছাড়াই দলের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নাইম সাহেব ভুয়া রেজুলেশন দিয়ে প্রস্তাব কেন্দ্রে প্রেরণ করে সফল হন। এরা হলেন ধানশাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান এনামুল ও হাতীবান্ধা ওয়ার্ড বিএনপির ২১ নং সদস্য হাজী ওরা ইসলাম। অবশ্য তারা দু'জনই পরাজয় বরণ করেন। কারন আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনীসহ ভোটাররা তাদের ভোট দেয়নি। সভাপতি নাইমের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থীদের নামের তালিকা নাইম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে সাধারণ  সম্পাদক লিখিত অভিযোগ করেছেন সভানেত্রী বরাবর।  অপরদিকে, গৌরিপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী পলাশের পক্ষে নাইমসহ তার অনুসারীরা কাজ করেছেন।যে কারনে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীক পেয়েও মাত্র  ২৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিদ্রোহী বিজয়ী পলাশের সম্বর্ধনা সভায় নাইম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রমান করেছেন তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীকে মদদ দিয়েছেন।এ ব্যাপারে নৌকার মনোনীত প্রার্থী সভানেত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফি জুবেরি বলেন,আমরা ছাত্র লীগের সভা করার সময় জাসদ ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় শহীদ হন ছাত্র লীগ নেতা আশীষ দত্ত ভোলা। ভোলার হত্যাকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হবে এটা মুজিব সৈনিকরা মেনে নিতে পারছি না। ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ এসএসম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে