Dr. Neem on Daraz
Victory Day

দুপচাঁচিয়ায় মাদক ও জুয়া নির্মূলে পুলিশ বদ্ধপরিকর: ওসি হাসান আলী


আগামী নিউজ | দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০১:২৯ পিএম
দুপচাঁচিয়ায় মাদক ও জুয়া নির্মূলে পুলিশ বদ্ধপরিকর: ওসি হাসান আলী

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আলী একান্ত সাক্ষাতকারে মিলিত হন আগামী নিউজের সাথে। সাক্ষাতকারে উঠে আসে দুপচাঁচিয়ার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি, অপরাধ দমন, নাগরিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর দুপচাঁচিয়া থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন হাসান আলী। অফিসার ইনচার্জ হিসাবে এক বছরের চাকুরি জীবনে বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের কারনে দুপচাঁচিয়ার সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৪ অক্টোবর) সাক্ষাতকারকালে আগামী নিউজ তৃতীয় বর্ষে পৌঁছে দ্রুত পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করায় আগামী নিউজের আরও উত্তরোত্তর  সফলতা কামনা করেন ওসি হাসান আলী।  

ওসি হাসান আলী বলেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা কে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছি। উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুধীমহল এবং সাধারন জনগনের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অপরাধ শনাক্ত ও অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া মেলায় ইতোমধ্য দুপচাঁচিয়া পৌরসভা , জিয়ানগর বাজার,বেড়াগ্রাম বাজার,বাজারদিঘী, ধাপসুলতানগঞ্জ হাট ,তালুচ বাজার  এলাকায় জনগনের সহায়তায় এবং পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দ্রুত দুটি চুরি ও একটি হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আসামী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি এ প্রসংগে আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগনোর উদ্যোগ গ্রহন করার ফলে অপরাধ কমতে শুরু করেছে। উপজেলার আলতাফনগর, চৌমূহনী এবং সাহারপুকুর বাজারে সিসি ক্যামেরার আওতায় অানা হচ্ছে শিগগীরই। এছাড়াও জনগনের সহায়তায় এবং পুলিশের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে উপজেলার ছোট ছোট গ্রামীন বাজারগুলোতেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি  বলেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় জুয়া বন্ধ রয়েছে।  কোনভাবেই জুয়া চলতে দেয়া হবে না। তাছাড়া মাদক নির্মূলেও তৎপর রয়েছে পুলিশ। বিভিন্নভাবে তদারকি করে ৬৬ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্য ৪৫ জন কে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটক করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। তাছাড়া মাদকসেবিদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্যের পরিবহন বন্ধ করতে উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি রাখা হচ্ছে।

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি হাসান আলী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে  হারিয়ে যাওয়া অনেক  মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মূল মালিকের হাতে অর্পণ করা হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় ফোন উদ্ধার হওয়ার ফলে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার ও ডিজিটাল অপরাধ শনাক্ত করার জন্য দুইজন এসআই এবং একজন এএসআই এর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষনিক কাজ করছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী হাসান আলী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০০৮ সালে ট্রেনিং শেষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে এসআই পদে যোগদান করেন।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে