Dr. Neem on Daraz
Victory Day

গোবিন্দগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা লাখ টাকায় দফারফার অভিযোগ


আগামী নিউজ | মানিক সাহা, জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা:  প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১, ০৮:৫২ পিএম
গোবিন্দগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা লাখ টাকায় দফারফার অভিযোগ

ফাইল ছবি

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগের ঘটনাটি  গ্রাম্য সালিশে লাখ টাকা নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টাকারীকে জুতা বারি দিয়ে মিমাংসার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা সালিশ অযোগ্য হলেও দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সালিশকারীরা। উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর গুচ্ছগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলেও তাকে গ্রাম্য সালিশ মানতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানাগেছে।

জানা গেছে, চক রহিমাপুর গুচ্ছ গ্রামের হয়রতের ছেলে আউয়াল মিয়া একই গ্রামের ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে গত ২৮ জুলাই ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর থেকে তাকে মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে গ্রাম্য মাতব্বরেরা। তিনি অভিযোগ তুলতে রাজি না হলেও চাপসৃষ্টি করে গ্রাম্য সালিশের সিন্ধান্ত তাকে মানতে বাধ্য করা হয়।

গত রোববার বিকালে ওই গ্রামের বাবু মিয়ার বাড়ির উঠানে ইউপি সদস্য তুষার মাহদুদের নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে বাবু মিয়া, আলম, আলতাব সহ স্থানীয় মাতব্বরেরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ধর্ষণের চেষ্টাকারী আউয়াল মিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার শাস্তি স্বরুপ জুতা দিয়ে দুটি বাড়ি দেওয়া হয়। ভূক্তভোগীকে সালিশের সিন্ধান্ত মানতে বলা হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মহিলা জানান, এক লাখ টাকা দিয়েছে অভিযুক্ত আউয়ালের পরিবার। ভুক্তভোগীকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে সালিশকারীরা। বাঁকি ৫ হাজার টাকা অভিযোগ তুলতে খরচ বাবদ নেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী গৃহবূধর শাশুড়ি মাহমুদা বেগম বলেন, ইউপি সদস্য তুষার একজন লোক পাঠিয়ে জোরপূর্বক তাঁর ছেলে বউয়ের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। তিনি আইনের মাধ্যমেই ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চান বলে আরও জানান।

গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণের চেষ্টা মিমাংসার কথা অস্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য তুষার বলেন, আইনগত ভাবে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ গ্রাম্য সালিশে মিমাংসা করার সুযোগ নাই।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রাম্য সালিশের তথ্য তিনি জানেন না জানিয়ে বলেন, এবিষয়ে গ্রাম্য সালিশে মিমাংসার সুযোগ নাই। আইন অনুসারেই এজাহার করা হবে।
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে