Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আমের মুকুলের গন্ধে সুরভিত দুপচাঁচিয়ার বাতাস


আগামী নিউজ | মতিউর রহমান, দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ১১:২২ এএম
আমের মুকুলের গন্ধে সুরভিত দুপচাঁচিয়ার বাতাস

আগামী নিউজ

বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে আমগাছের মুকুলে মুখর হয়ে উঠেছে চারিদিক। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতির বাতাস হয়ে উঠেছে সুরভিত। আমগাছের মুকুলের শোভায় প্রকৃতিতে যোগ হয়েছে নান্দনিকতা।

অকৃষি পতিত জমি, বাড়ির আশপাশ, কৃষি জমির সীমানা আইল, পুকুড়পাড়ে আমগাছ রোপণের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে আমচাষ লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান করা শুরু করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার অনেকেই। কৃষি প্রযুক্তির প্রভাবে ও আম চাষের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় কয়েক বছর ধরে আমের বাম্পার উৎপাদন হচ্ছে।

আম উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীনেশ চন্দ্র বসাক বলেন, আমগাছে মুকুল থেকে পর্যাপ্ত ফল পেতে হলে অবশ্যই কীটনাশক দিতে হবে। মুকুল ফোটার আগে ও পরে কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে। তবে মুকুল ফোটার পরে গুটি না আসা পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহার না করায় ভাল।

তিনি আরও বলেন, আমের মুকুল ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথমবার ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম অথবা এমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার ২ গ্রাম  এবং সারপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ২৫ মিলি গ্রাম প্রতি ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। আবার মুকুলে গুটি দেখা দিলে একই মাত্রার ছত্রাক ও কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে আম মারবেল আকার ধারণ করলে একই মাত্রার ছত্রাক ও কীটনাশক এবং পরিমাণমত বরিক এসিড স্প্রে করতে হবে।

বাণিজ্যিকভিত্তিতে আমচাষি গোলাম রব্বানি জানান, তার বাগানে আম্রপলি, বারি-৪, ল্যাংড়াসহ ২৫০টি গাছ রয়েছে। গতবছর ব্যাপক পরিমাণে আমের উৎপাদন হওয়ায় অনান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম ছিল। খুচরা ৫০ টাকা দরে এবং পাইকারী ৪০ টাকা দরে আম বিক্রি করেছেন। এতে তার ২ লাখ টাকার আম বিক্রি হয়েছে।

দুইভাই নার্সারির স্বত্ত্বাধিকারী বেলাল হোসেন এবং বাগানবাড়ী নার্সারির স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুস সালাম জানান, ফলজ গাছের মধ্য আমগাছের চারা বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। মানুষজন এখন বছরজুড়েই আমগাছের চারা রোপণ করছেন।  আম্রপলি, ল্যাংড়া, ক্ষিরসাপাতি, গোপালভোগ, হাড়িভাংগা, ফজলি আমের চারাগাছের চাহিদা বেশি।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাজেদুল আলম  বলেন, এখনকার মাটি ও জলবায়ু আমচাষের জন্য উপযোগী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে পরিচর্যা করা হলে আমের ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে