Dr. Neem on Daraz
Victory Day

দ্বিতীয় দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ পাঁচজনের


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২০, ০৭:৪৯ পিএম
দ্বিতীয় দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ পাঁচজনের

ছবি; সংগৃহীত

পটুয়াখালীঃ জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটে স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ যাত্রীর সন্ধান এখনও মেলেনি। তাদের উদ্ধারে আজ শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়েছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। তবে ঘটনার একরাত একদিন অতিবাহিত হলেও তাদের খোঁজ না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় পরিবার-স্বজনরা।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মহিবুল্লাহ (৪৫), কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), বেসরকারি এনজিও আশার খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার হুমায়ুন কবির (৩০), গলাচিপার আমখোলার বাসিন্দা হাসান (৩৫) ও বাউফলের কনকদিয়ার বাসিন্দা ইমরান (৩৪)। এদের মধ্যে হাসান ও ইমরান রাঙ্গাবালীতে নির্মাণকাজে এসেছিলেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী স্পিডবোট আগুনমুখা নদীর মাঝামাঝি গিয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে যায়। এ সময় ১৭ জন যাত্রী ও এক চালকসহ স্পিডবোটটি ডুবে যায়। দেড়ঘন্টা পর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে আগুনমুখার তীরে তাদের স্বজনদের আহাজারি ও বিলাপে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, নিখোঁজদের কারও সন্ধান এখনও পাইনি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল থাকায় দুপুর (শুক্রবার) উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছিল। তবে আমাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে উপকূলের নদ-নদী উত্তাল ছিল। এ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ওইদিন স্পিডবোট চলাচল করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন প্রশাসন। এর আগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দুইটি স্পিডবোটের সংঘর্ষে এই রুটের একটি স্পিডবোট ডুবে দুইজন মারা যায়।

উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনসহ একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, তাদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। নদীতে ঢেউ বাড়লে স্পিডবোট তীরে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করলেও তা শোনেনি চালক।

তবে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষের দাবি, নদী তখন স্বাভাবিক ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট চালানো কোনমতেই ঠিক হয়নি। উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, একমাত্র নৌপথ কেন্দ্রীক যোগযোগ এ জনপদের মানুষের। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এই রুটে ফেরি চালুর প্রয়োজন।

আগামীনিউজ/জেহিন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে