Dr. Neem on Daraz
Victory Day
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

গ্যাসের বুদবুদে কর্মকর্তারা দিশেহারা


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০, ১০:০১ এএম
গ্যাসের বুদবুদে কর্মকর্তারা দিশেহারা

ফাইল ছবি

ফেনীঃ জেলার মহিপাল জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লাইন লিকেজ হয়ে প্রায় এক বছর ধরে অনবরত গ্যাস নির্গত হচ্ছে। দিয়াশলাই বা সিগারেটের আগুনের স্পর্শ পেলে দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে সড়কে। এর ওপর দিয়েই যাতায়াত করছে যানবাহন। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালক ও স্থানীয়রা। কর্তৃপক্ষ বলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। ​​​​​​

গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জিরোপয়েন্ট এলাকায় সড়কে গ্যাস লিকেজের জায়গায় কাজ শুরু করেছেন তারা।

শনিবার সকালে কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শংকর মজুমদারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় উপ-মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) আবুল বাশার, নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (বিক্রয়) মো. সোলায়মান, ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সাগির আহমেদ, ফেনী এরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সাহাবুদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও নুরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।পরে দুপুরে ওই স্থান পরিদর্শন করেন ডিসি মো. ওয়াহিদুজজমান।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস ধরে এভাবে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানিকে জানানয় হলে, তারা বালু ছিটিয়ে দিয়ে চলে যায়। এ অবস্থায় সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।তারা বলেন, 'আমরা অবশ্যই দ্রুত এর সমাধান চাই। কারণ, যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'  
 
সমস্যা সমাধানে গত ২৬ জুলাই মাসে ফেনীর সড়ক ও জনপথ বিভাগকে লিখিতভাবে সড়ক কাটার অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান ফেনীর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. সাহাব উদ্দিন।

ফেনীর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কীভাবে মেরামত করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়ে বলেন, জাতীয় মহসড়কে কাজ করতে গেলে সড়ক বিভাগের অনুমতি লাগবে। তাদের অনুমতি ছাড়া সেখানে গ্যাস কোম্পানি কাজ করতে পারে না। পারমিশন পেলেই তারা রাস্তা কেটে পাইপ বের করে ফেলবেন বলেও জানান তিনি।

গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে, মহিপাল ফ্লাইওভারের পাশে জিরোপয়েন্ট এলাকায় শাহীন হোটেল এন্ড রেস্টেুরেন্টের সামনে মহাসড়কের জোড়া দেওয়া অংশ (সিসি ঢালাই) ও ড্রেন (ফুটপাত) এর পাশ দিয়ে প্রায় একশ মিটার অংশ জুড়ে গ্যাসের বুদবুদ বের হচ্ছিল।

স্থানীয় শাহীন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার আবদুল আলিম বলেন, “আমাদের হোটেলের সামনে মহাসড়কের ড্রেন ঘেঁষে ও সড়কের বিভাজন অংশ দিয়ে দীর্ঘ চার মাস ধরে গ্যাস বের হচ্ছে। শুষ্ক সময়ে বিষয়টি ততটা আঁচ পাওয় না গেলেও হাল্কা বৃষ্টির জোড়া অংশে পানি জমলে বুদবুদ করায় বিষয়টি টের পাওয়া যায়।সেখানে ধূমপায়ীরা জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ফেললে ধুপ করে আগুন ধরে যায়। তার রেস্তোরাঁয় নিয়মিত চা-নাসতা খেতে আসা বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কয়েক মাস আগেই এ ঘটনা জানিয়েছিলেন বললেন তিনি।

স্থানীয় পত্রিকা এজেন্সি আজাদ স্টোরের ম্যানেজার রাজু জানান, বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক অভিযোগ জানালে তারা  কিছুদিন পর পর লোকজন এসে ঘটনাস্থল ঘুরে সামান্য কিছু বালু ফেলে ঢেকে দিয়ে যায়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত গ্যাস লিকেজের মেরামতের কোনো স্থায়ী উদ্যোগে নিতে দেখা যায়নি।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে