এবং সুরক্ষা পোশাক ছাড়াই বহিঃর্বিভাগে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সেবা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন চিকিৎসক নিয়মিত আসছেন না হাসপাতালে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসন কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের নেই কোনও নজরদারি।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে থাকা বেশ ক’জন করোনা রোগীকে। যা আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের জন্য।
হাসপাতাল থেকে খাবার দেয়া হলেও অনেকেই খাবার নিতে, কেউবা নমুনার জন্য ফরম পূরণ অথবা ফি জমা দেয়ার অজুহাতে করোনা ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।রোগীরা জানান, 'নার্স আমাদেরকে একটা ফর্ম দেয়, সেটা নিয়ে বাইরে এসে টাকা জমা দিতে হয়। তারপর তারা কালেকশনে আসেন।'
অন্যদিকে, বহিঃর্বিভাগে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোগীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণেও নেই কোন তৎপরতা। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. কিশোর কুমার বলেন, 'শুধুমাত্র যে সকল ডাক্তার কোভিড রোগী দেখে থাকেন তাদেরকে সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হয়। আর আমরা যারা বহিঃর্বিভাগে রোগী দেখি তারা নিজস্ব ব্যবস্থায় সুরক্ষা ব্যবস্থায় করছি।'
একের পর এক অপরিকল্পিত পদক্ষেপ আর সমন্বয়হীনতার কারণে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বগুড়ার করোনা পরিস্থিতি ।
আগামীনিউজ/এএস