নেই লাইসেন্স, মহীউদ্দীন খান আলমগীরের হাসপাতালকে জরিমানা

---

আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২০, ১০:২৮ পিএম

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সাবেক আলোচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মালিকানাধীন গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্সের এই ঘটনা ধরা পড়েছে। একই সময়ে পার্শ্ববর্তী সেবা জেনারেল হাসপাতালেও অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে এ দুটি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাস্কফোর্সের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটারিয়নের (র‌্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হাসপাতাল) উম্মে সালমা তানজিয়া ও গাজীপুর র‌্যাব-১ এর কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মালিকানাধীন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাড়ে সাত লাখ টাকা এবং সেবা জেনারেল হাসপাতালকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে অভিযান চলাকালে বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হাসপাতাল) উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, আমাদের যে সব প্রতিষ্ঠান চলছে সেগুরোর লাইসেন্স আছে কি-না এবং ঠিক মতো সেবা প্রদান করছে কি-না সেটা দেখার উদ্দেশ্যেই আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু নিয়মে চলুক, নিয়মের মধ্যে থাকুক, সেবা প্রার্থীদের সেবা নিশ্চিত করুক।

তিনি বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল বিভিন্ন মিডিয়ায় তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। একটা মিডিয়া বলেছে যে অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে, অভিযান বন্ধ হয়নি। আজকের অভিযানই তার প্রমাণ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঠিক রেখে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জনগণ যাতে সেবা পায় সেটা ঠিক রাখার একটি সমন্বিত ব্যবস্থার জন্য সার্কুলার জারি করা হয়েছিল।

অপরদিকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের লাইসেন্স নেই। তাদের অপারেশন থিয়েটারে যেসব সার্জিক্যাল সামগ্রী পাওয়া গেছে সেগুলো ৫-৬ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী ব্যবহার করলে রোগীদের ক্ষতি হতে পারে। এখানে এ প্রতিষ্ঠানের যে চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন তারাও বলেছেন এটা কাঙিক্ষত নয়।

তিনি বলেন, হাসপাতালটির ল্যাবে অনুমতি ছাড়া ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হচ্ছে। রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হলে আইন অনুযায়ী লাইসেন্স করতে হবে। সেই লাইসেন্সটি তারা না নিয়েই রক্ত পরিসঞ্চালন করে আসছিলেন। রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হলে অবশ্যই রক্তের পাঁচটি টেস্ট করতে হবে। যেসব হাসপাতালের লাইসেন্স নেই সেই সব হাসপাতালকে লাইসেন্স করার জন্য আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মন্ত্রণালয় সময় বেঁধে দিয়েছে। সে কারণে আমরা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করিনি। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স নিতে ব্যর্থ হলে আমরা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেব।

এদিকে বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সেবা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী ও রক্ত পরিসঞ্চালনের অনুমতি না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আগামীনিউজ/এমজামান