Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কালকিনিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল, ফসলি জমিসহ মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম
কালকিনিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল, ফসলি জমিসহ মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মাদারীপুরের কালকিনিতে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। আর হু হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। গত কয়েক দিন ধরেই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতে দ্রুত প্লাবিত হতে শুরু করেছে অপেক্ষাকৃত নিচু ও চর এলাকাগুলো।

তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বহু মৌসুমী ফসলি জমি ও মৎস্য খামার। পালরদী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর দুই পাশে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার আলীনগর, কয়ারিয়া, বাশগাড়ী ও সিডি খাঁন ইউনিয়নের কয়েক শত বসতবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট। এবারের বন্যায় কৃষকদের ও মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে যানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটসহ উপজেলার নবগ্রাম, ডাসার, কাজীবাকাই, গোপালপুর, বালিগ্রামসহ বেশকিছু অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত পানি বৃদ্ধিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন গ্রাম ও আঞ্চলিক সড়ক। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা দুর্ভোগ। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসী। চলাচলের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করছে ওইসব এলাকার পানিবন্দী মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি ও মৎস্য খামার তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বহু কৃষক। স্থানীয় মৎস্য চাষী মোঃ এরশাদ মুন্সী বলেন, লাখ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে মাছ চাষ করেছি কিন্তু হঠাত বন্যার পানি আসায় খামার তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে বড় ধরনের লোকশানের মুখে পড়তে হবে আমাদের মাছ চাষিদের।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস জানান, বন্যার পানিতে সবজি প্রায় ৪০ হেক্টর, আউশ ধান এক হেক্টর, রোপা আমন ২০ হেক্টর, বোনা আমন ৪৫ হেক্টর, আমন বীজতলা ৯ হেক্টর পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে শতাধিকেরও বেশি পরিবারের সবজি বাগান প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল বীধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিতে পারে পানিবাহিত নানা রোগ। এছাড়া বিষাক্ত সাপ ও পোকা-মাকড়ের শিকারও হতে পারে মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে মেডিকেল টিম পৌঁছে যাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যার পানিতে কয়েকটি গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে যার কারণে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। আর বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে এখনো পর্যন্ত খাদ্যের অভাব দেখা দেয়নি। তবে প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের জানানো হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর নদীগর্ভে যাদের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে তাদের তালিকা তৈরী করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে।

 

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে