Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ফুলবাড়ীতে নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহারা শতাধিক পরিবার


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২০, ০২:৪৩ পিএম
ফুলবাড়ীতে নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহারা শতাধিক পরিবার

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীতে এবারের বন্যায় ধরলা নদীর ভাঙনের কবলে পরে ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বড়ভিটা ইউনিয়নের চর মেকলি,চর বড়ললই ও পশ্চিম চর ধনীরাম গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার।

অনেকেই শেষ সম্বল হারিয়ে হয়ে পড়েছে দিশেহারা। মিলছে না পর্যাপ্ত ত্রাণ ও আর্থিক সহযোগিতা।তাই সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন অসহায় পরিবারগুলো।

এবারে তিন ধাপের বন্যায় ধরলা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

একেকটি পরিবার ৫ থেকে ৭ বার করে ঘরবাড়ি স্থানান্তরিত করেও রক্ষা পান নি। অনেকেই আবার শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভাঙতে ভাঙতে যখন সব শেষ তখন অসহায় হয়ে অনেকেই ছাড়তে হয়েছে জন্মস্থান এলাকা। অনেকেই আবার অন্যের জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও কর্মহীনতায় পরে ছেলে মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

বিগত দুই বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি।

নদী ভাঙনের শিকার ভোলা মিঞা জানান, আমার বাড়ি ধরলা নদীর প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে এ পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি, সরকার যদি একটু আমাদের সহযোগিতা করতো তাহলে আমরা বাঁচতে পারতাম।

ময়না বেগম জানান, ধরলায় আমার ভিটেমাটি সব ভেঙে নিয়ে গেছে মানুষের জায়গা কোনভাবে আছি, খাবার কোন কিছু নাই খুব কষ্টে আছি। সরকার যদি একটু আমাদের সাহায্য করে তাহলে খুব উপকার হতো।

বসতবাড়ী হারা সামেদ আলী বলেন আমার ভিটেবাড়ি সব নিয়ে গেছে ঘর তোলার কোন জায়গা নাই বিভিন্ন জায়গায় আমার বসত ঘর বাড়ি রেখে দিয়েছি কোন খাবার নেই সরকার যদি একটু আমাদের দিকে দেখত তাহলে খুব ভালো হত।

রোজিনা বেগম জানান ধরলায় আমাদের বাড়িঘর সব ভেঙ্গে গেছে কোনমতে বসতঘর বাঁচাতে পেরেছি অন্যের বাড়িতে গিয়ে বাড়ি ঘর দুয়ার করব বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি সরকার যদি আমাদেরকে সাহায্য করে তাহলে একটু ভালোভাবে চলতে পারব।

শামসুল হক জানান, বাড়িঘর ধরলায় ভাঙার কারণে খুব অসহায় হয়ে পড়েছি, একজনের কাছে অতি কষ্টে আশ্রয় পেয়েছি খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি সরকারি সাহায্য পেলে কোনমতে জীবনটা বাঁচাতে পারতাম।

বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, আমার ইউনিয়নের ৭৫টি বাড়ি ইতিমধ্যে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা বসতভিটা ছেড়ে রাস্তায়, অন্যের জায়গায় ও আবাসনে বসবাস করছে। আমরা ইতিমধ্যে তাদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার দিয়েছি । তবে তাদেরকে সরকার আর্থিক সাহায্য করলে খুবই ভাল হত।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে ঘরবাড়ি নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে সেটি আমি শুনেছি। আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সেগুলো তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছে।

ইতোমধ্যে আমরা তাদেরকে সরকারি ত্রাণ ও দিয়েছি ভবিষ্যতে তাদের সাহায্যের জন্য কোন অনুদান আসলে আমরা অসহায় পরিবার গুলোকে সহযোগিতা করব।

আগামীনিউজ/এএস

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে