Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পরিবার প্রিয়জন ছেড়েই ডিউটিতে ব্যস্ত নড়াইলের পুলিশ প্রসাসন!


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২০, ০৭:৩৮ পিএম
পরিবার প্রিয়জন ছেড়েই ডিউটিতে ব্যস্ত নড়াইলের পুলিশ প্রসাসন!

পরিবার পরিজন ছেড়ে সাধারণ মানুষের জন্য এবারও ঈদে মাঠে-ময়দানে রাস্তায় কর্তব্য পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে নড়াইল জেলা পুলিশ প্রশাসন, সমান তালে ব্যস্ত রয়েছে ট্রাফিক বিভাগ নড়াইল।
 
দেশে বিদ্যমান করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সব ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কথা হয় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টদের সাথে।
 
তারা জানান, প্রথম পরিচয় আমি ‘পুলিশ’ জনগণের সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করছি। ব্যক্তিগত জীবন আমার কাছে মুখ্য না।
 
জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি বিধান করাই আমার একান্ত নেশা ও পেশা।
 
যখন যেখানে আমার প্রয়োজন হয় তখন সেখানেই ছুটে যাই, ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে খুব কষ্ট হতো কিন্তু এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
 
তিনি বলেন, আমাদেরকে কঠিন শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করতে হয়, চেইন অব কমান্ড মেনেই প্রতিটি পা ফেলতে হয়। আমরা যেমন নিজেদের ইচ্ছায় ছুটি কাটাতে পারি না, তেমনি কোনো কাজও করতে পারি না,পুলিশের রুলস-রেগুলেশন যা আছে তা মেনেই কাজ করতে হয়।
 
মানুষ যখন ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা থাকে তখন কর্তব্যর খাতিরে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। এতে আমি হতাশ নই, বরং গর্বিত যে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য কাজ করতে পারছি।
 
দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের বিভাগের সকল ছুটি বাতিল হওয়ায় এবারও পরিবারের সাথে ঈদ করা হবে না, কর্মস্থলেই থাকতে হবে। পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে, ঈদে আমি বাড়ি যেতে না পারলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক পাঠিয়ে দিয়েছি। ঈদে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মাকে রেখে কর্মস্থলে ঈদ করতে কেমন লাগে প্রশ্ন করলে বলেন, মন থেকে বলছি,
 
সবচেয়ে বেশি খুশি লাগে যখন আমি দেখতে পাই আমার দেশের মানুষ ধুমধাম করে উৎসব করছে। ডিউটি করার সময় যখন দেখি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের হাত ধরে বেড়াচ্ছে তখন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই।
 
তাছাড়া কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে আমরা যখন এসব অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি তখন পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করি। অন্যের ভাল লাগা আর ভালবাসার প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে নিজের অপ্রাপ্তির কথাগুলো ভুলে যাই।
 
এভাবেই ঈদ আসে ঈদ যায়,পরিবার ছেড়ে ঈদ করায় দুঃখ নেই বরং ঈদে দেশের সাধারণ মানুষের ঈদ উৎসব নির্বিঘ্ন করতে দায়িত্ব পালন করা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের।
 
ঈদ-উল-আযহায় নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানী করা, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলা, ট্রাফিক আইন মেনে চলাচল করা এবং সবাইকে করোনা প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহবান জানান এবং ঈদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন নড়াইল বাসিকে। 
 
 
আগামীনিউজ/এএস
আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে