Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৪৯ বছরেও ভাষা সৈনিকের সম্মান পাননি সামশুল


আগামী নিউজ | ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২০, ১১:৫৬ এএম
৪৯ বছরেও ভাষা সৈনিকের সম্মান পাননি সামশুল

সংগৃহীত ছবি

সামশুল হক ১৯৩৩ সালের ২১ ডিসেম্বরে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার বেলশাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে প্রবেশিকা( matriculation) পাস করেন। পরে তিনি ১৯৫৪ সালে দিনাজপুর এসএন কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র থাকা কালীন সময়ে তিনি ৫৪'র যুক্তফন্ট্র নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।

সামশুল হক ভাষা আন্দোলন চলাকালে ঠাকুরগাঁও হাই স্কুলের (বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) প্রবেশিকা পরীক্ষার্থী ছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তানের গোটা পূর্ববঙ্গের ন্যায় ঠাকুরগাঁওতেও ভাষা আন্দোলনের প্রভাব পড়ে। শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। বাংলা ভাষা রক্ষায় চলে হরতাল, মিটিং, মিছিল, পথ সভা, কালো পতাকা প্রদর্শনসহ আরো কত কি।

বাংলা ভাষা রক্ষায় এ সব কর্মসূচিতে স্বশরীরে অংশ নেন তৎকালীন ম্যট্রিকুলেশনের ছাত্র সামশুল হক। এ আন্দোলনে তৎকালীন পুলিশের হাতে আরো কয়েকজন ছাত্রসহ আটক হোন তিনি। আটকের পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পিতা তৎকালীন ওই স্কুলের প্রভাবশালী শিক্ষক মির্জা রুহুল আমিনের বিশেষ কৌশলে ও শক্ত হস্তের কারণে মুক্তি পান সামশুল হক বলে জানা গেছে।

ভাষা আন্দোলনে তার কৃতিত্বের কথা বেশ কিছু গ্রন্থে উঠে আসলেও তিনি এখনও ভাষা সৈনিকের মর্যাদা পাননি।

তার মৃত্যু হয় ২০০৪ সালের ৩১ মে। তার মৃত্যুর পর ছেলে মেয়েদের সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি দাবি তাকে যেন ভাষা সৈনিকের সম্মান দেয়া হয়।

এ বিষয়ে তার ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার সভাপতি মোমিনুল হক ভাষানী বলেন, আমার মরহুম পিতার বর্ণাঢ্য জীবনের মধ্যে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ অন্যতম। তিনি তার জীবদ্দশায় ভাষা সৈনিকের সম্মান পাননি। তিনি আমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫২ সালে বাংলা ভাষা রক্ষায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৭২ থেকে মৃত্যুর দিন (২০০৪ খ্রি.)পর্যন্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৭০ সাল হতে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত মুজিব আদর্শে সর্বদা মুজিব কোর্ট গায়ে ব্যবহার করেছেন।এছাড়াও ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে বাকশালের থানা গভর্নর হিসেবে তার নাম প্রস্তাবিত হয়।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের পারিবারিক দাবি আমার বাবা সামশুল হককে ভাষা সৈনিক মর্যাদায় সম্মানীত করা হলে আমরা চিরকৃতজ্ঞ হব।

আগামীনিউজ/শামসু্ল/জেএফএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে