বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য সরকারি প্রণোদনাসহ ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষদের সভাপতি মজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন ঢালী, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ সিদ্দিকী মিয়া। ঢাকা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ফারুক হোসেনসহ অন্যরা।
বক্তারা সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি তুলে বলেন, নন এমপিওভুক্ত কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। করোনাভাইরাসের এই দুঃসময় উত্তরণে সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনা ব্যবস্থা, সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা ব্যবস্থা করে দেয়া, শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা, করোনাভাইরাস এর সংক্রমণের হার কমে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা, সহজ শর্তে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পিএসসি পরীক্ষার মতো নিজ স্কুলের নামে জে.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া। তা না হলে সারা দেশের এই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যদি স্কুল বন্ধ থাকে তাহলে ৩০ শতাংশ স্কুল এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
সারাদেশে ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ১০ লাখ শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এই ছয় দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ঘোষণা মোতাবেক গত ১৭ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের ১৪৫টি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যার কারণে চরমভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাছাড়া স্কুল বন্ধ থাকায় এবং লকডাউনের কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশনিও করতে পারছে না। এছাড়া প্রায় ৯৫% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত। বাড়ি ভাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক টিউশন ফি থেকে। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা অর্থনৈতিকভাবে নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছে। কোনো শিক্ষক না পারে কারো কাছে হাত পাততে না পারে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্যে নিতে। এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে আজ শিক্ষকরা রাস্তায় নেমেছে তাদের কষ্টের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে। আমরা আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে এই শিক্ষক-কর্মচারীদের দিকে সু-দৃষ্টি দিবেন এবং কার্যকরী প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিবেন।
আগামীনিউজ/রফিকুল/জেএফএস